ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেয়া নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ভোট হবে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)। কূটনীতিকরা মনে করছেন, ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য করার পক্ষে সমর্থন জানাতে পারে ১৩ সদস্য। আর প্রস্তাবটি ঠেকাতে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, ভোটাভুটিতে আবেদন পাস হলে তা কার্যকরভাবে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে।
বহু বছর ধরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ইসরাইল। গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে নতুন করে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এবার ভূখণ্ডটিকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেয়া নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ভোট হবে।
কূটনীতিকরা জানান, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি শুরু হবে। এই প্রস্তাবে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হোক।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের পক্ষে কমপক্ষে ৯টি দেশের ভোট দরকার। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন এই পাঁচ দেশের কোনো একটি দেশ ভেটো দিলে প্রস্তাবটি পাস হবে না।
কূটনীতিকরা মনে করছেন, ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার পক্ষে সমর্থন জানাতে পারে নিরাপত্তা পরিষদের ১৩ সদস্য। আর প্রস্তাবটি ঠেকাতে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ ভোটাভুটিতে এ আবেদন পাস হলে তা কার্যকরভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
এর আগে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য আলজেরিয়া ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার ব্যাপারে খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে ভোটাভুটির অনুরোধ জানায়। কিন্তু একই সময় মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আরেকটি বৈঠকের সিডিউল থাকায় তা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নিচ্ছে ফিলিস্তিন।