ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর রাতের এক পার্টিতে নাচানাচির ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে চরম অস্বস্তিতে দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান। বিতর্কের মুখে নিজের ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তি’ তুলে ধরতে এবার ড্রাগ টেস্ট করালেন তিনি। সেই রিপোর্ট হাতে এলেই ‘সব কিছু দিনের আলোর মতো’ পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে সমালোচকদের জবাবও দিয়েছেন উত্তর ইউরোপের স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশটির সবচেয়ে তরুণী প্রধানমন্ত্রী। যদিও তাতে সমালোচনার সুর নরম হয়নি।
শুক্রবার নিজের ড্রাগ টেস্ট করান ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। গত বৃহস্পতিবার একটি পার্টিতে তার হই-হুল্লোড় করার ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে আরও ৬ জনের সঙ্গে সানা-কে নাচতে দেখা গিয়েছে। পার্টিতে চলা গানের সুরে গলাও মেলান তিনি। এর পরই তিনি মাদকাসক্ত বলে জল্পনা ছড়ায়। বিতর্কের মুখে একদিনের মধ্যে নিজের ড্রাগ টেস্ট করিয়েছেন এই প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, এই ইস্যুতে সমালোচকদের একহাত নিয়েছে ৩৬ বছরের তরুণী রাষ্ট্রপ্রধান।
বিতর্কের মুখে ঠিক কী বলেছেন ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী? তার কথায়, ‘জনগণের মনে ধারণা হতে পারে, আমি মাদকের দুনিয়ায় থাকি। কেউ ভাবতে পারেন আমি ভয়ঙ্করভাবে নেশাগ্রস্ত। তাই বিষয়টি একেবারেই অবহেলার নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি ড্রাগ টেস্ট এর দাবির বিরোধী। কিন্তু এই অবস্থায় স্বচ্ছতা প্রমাণের প্রয়োজন আছে। সেটা না হলে দেশের জনগণের চোখে অবিশ্বাসের পাত্রী হয়ে পড়ব’। তবে ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী সত্যিই মাদকাসক্ত কিনা তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক ঘণ্টা। কারণ এখনও তার রিপোর্ট আসেনি।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রুশ আক্রমণের আশঙ্কায় কাঁপছে ফিনল্যান্ড। মাস তিনেক আগে রাশিয়া-র হুমকি উপেক্ষা করে সুইডেনের সঙ্গে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ‘ন্যাটো’ সামরিক জোটে যোগদানের আবেদন জানান সানা মারিন। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর পার্টিতে হই-হুল্লোড় করার ভিডিও সামনে আসায় দেশজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। কারণ, বৃহস্পতিবার যে সময় তিনি পার্টিতে হই-হুল্লোড়ে মেতেছিলেন, ওই সময় দেশের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে রুশ যুদ্ধ বিমান। এর আগে ন্যাটোতে যোগ দিলে ফিনল্যান্ডকে-কে শিক্ষা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।