বিশ্বজিত সাহা অসাধ্য সাধন করেছেন: শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি

প্রবাস বাংলাদেশ

শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেছেন, বিশ্বজিত সাহা অসাধ্য সাধন করেছেন। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সামনে মহান একুশে পালনে বিশ্বজিত সাহার নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশন বিদেশে রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা পালন করে চলেছে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শেকড়ের সন্ধানের আয়োজনে ও শাহ্‌ গ্রুপের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘জাতিসংঘের সামনে একুশে উদযাপন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বজিত সাহা অনেক কিছু করেছেন। তার মধ্যে থেকে কয়েকটির কথা যদি বলি, প্রবাসে বাংলা ভাষার চর্চা ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তিনি চুপচাপ কাজ করে সবাইকে সংযুক্ত করেছেন। মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক, মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বিশ্বজিত সাহা একে অপরের পুরিপূরক।

দিপু মনি বলেন, একুশের আন্তর্জাতিকীকরণের স্বীকৃতিতে ২০২০ সালে বিশ্বজিত সাহার আবেদনে নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটে জেসিকা রামোসের মাধ্যমে উত্থাপিত একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে রেজুলেশন পাস করা হয়। কি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার মানুষগুলোকে তিনি এর সঙ্গে যুক্ত করে ফেলেছেন। সেটা নিশ্চয়ই খুব সহজ কাজ ছিল না। তিনি এই অসাধ্যকে সাধ্য করেছেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সামনে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের উদ্যোক্তা বিশ্বজিত সাহা। তিনি তার প্রবন্ধে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালি চেতনা মঞ্চের যুগপদ চলার ৩০ বছর অভিবাসী সমাজে একটি দৃষ্টান্ত হিসাবে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে ২০২০ সালে নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটে পাশকৃত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রেজুলেশনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংরক্ষণের জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরয়ের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো: বেলায়েত হোসেন এবং পররাষ্ট্র মদ্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও নিউ ইয়র্কের সাবেক কনসাল জেনারেল এম শামসুল হক।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক শেকড়ের সন্ধানের সহসভাপতি আজম শেখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *