এক শহরের নিয়ন্ত্রণের দাবি রাশিয়া ও ইউক্রেন দুপক্ষেরই

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের শহর লিসিচানস্ক এখন প্রতিযোগিতার কেন্দ্রে রয়েছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন দু পক্ষই দাবি করছে শহরটি তাদের দখলে রয়েছে।

ইউক্রেন বলছে, তার সেখানে রাশিয়ার পক্ষ থেকে ব্যাপক হামলার শিকার হচ্ছে কিন্তু জোর দিয়ে বলছে যে, শহরটি তাদের দখলেই রয়েছে। যদিও রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বলছে, তারা সফলভাবে শহরে প্রবেশ করেছে এবং কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। খবর: বিবিসি বাংলা।

রাশিয়ার গণমাধ্যমে ভিডিও প্রচার করা হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে, শহরের কেন্দ্রে বিচ্ছিন্নতাবাদী অথবা রাশিয়ান সেনারা কুচকাওয়াজ করছে।

রাশিয়ার বিভিন্ন সূত্র থেকে টুইটারে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে, শহরটির ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রশাসনিক ভবনে রুশ পতাকা উড়ছে। তবে তা নিরপেক্ষ কোন সূত্র দ্বারা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

লিসিচানস্ক ছিল ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লুহানস্ক অঞ্চলের ভেতরে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত শেষ শহর। ডনবাস অঞ্চলের একাংশ অবস্থিত এটি।
লুহানস্কের গভর্নর শেরি হাইডা বলেছেন, রাশিয়ান সেনারা সকল দিক থেকে শহরে প্রবেশ করছে।

রাশিয়ায় লুহানস্কের রাষ্ট্রদূত রোডিওন মিরশনিক রাশিয়ার এক টেলিভিশনকে বলেছেন, শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়া হয়েছে তবে শহরটি এখনো স্বাধীন নয়।
প্রতিরক্ষা বিষয়ক ব্লগার রব লি শহরের ভেতরে রাশিয়ান সেনাদের ভিডিও প্রকাশ করেছেন।

চব্বিশে ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে রাশিয়া বলে আসছে তারা ইউক্রেন থেকে ‘নাৎসি উচ্ছেদ এবং দেশটির বেসামরিকীকরণ’ করছে। হামলা শুরুর পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছে। এক কোটি কুড়ি লাখের মত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এরপর পশ্চিমা দেশগুলো বিশ্বের অন্যতম পারমানবিক সুপার পাওয়ার এবং জ্বালানি সরবরাহকারী রাশিয়ার উপর কঠোর অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে।

শনিবার দিনের শেষের দিকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, তার দেশ মিসাইলবিধ্বংসী ব্যবস্থা দিয়ে ইউক্রেনের মিসাইল ভূপাতিত করেছে, তবে কোথায় সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বেলারুশের ভেতর দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ান সেনাদের ইউক্রেনে হামলা করতে দিয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেছেন, তারা আমাদের উস্কানি দিচ্ছে….দিন তিনেক আগে, হয়ত আর কদিন আগেও হতে পারে, ইউক্রেনের সীমান্তের ভেতর দিয়ে আমাদের সামরিক স্থাপনার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু পান্টসির মিসাইল বিধ্বংসী ব্যবস্থা সবগুলো মিসাইল ধ্বংস করতে সফল হয়েছে।
আমরা ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে চাই না।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে যে, রাশিয়া সোভিয়েত আমলের জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল ব্যাবহার করে ভূমিতে এমন ধরনের হামলা চালাচ্ছে ওই বিধ্বংসী সেই কাজে লাগানোর কথা নয়। ওডেসায় বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর জন্য এই জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল ব্যাবহার করা হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করছে।

ইউক্রেনের দখলে থাকা ডনবাস অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর স্লোভিয়ানস্কে আবারও রাশিয়া আক্রমণ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *