ইসরাইলের বিপক্ষে ভোট, অপরাধ তদন্ত করবে জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ

গাজায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে চলা ১১ দিনের সংঘাতে অপরাধের অভিযোগ আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত করতে রাজি হয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ।

বৃহস্পতিবার মানবাধিকার পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসলামিক সহযোগিতা পরিষদ ও ফিলিস্তিন এ প্রস্তাব আনে। অধিবেশনে আনিত প্রস্তাবে ভোটাভুটিতে তদন্তের পক্ষ সমর্থন করে বেশির ভাগ সদস্য।

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ফোরামে ঘটনার তদন্ত প্রস্তাব গৃহীত হলেও ইসরাইল তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা তদন্তে সহযোগিতা করবে না বলে জানিয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার পরিষদের ২৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে এবং নয়টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। আর ১৪টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।

প্রস্তাবে ইসরাইল–হামাস সংঘাত তদন্তে একটি স্থায়ী তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। যার কাজ হবে লড়াই চলার ওই সময়ে ইসরাইল, গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দেওয়া।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বিশেষ এক অধিবেশনে ভাষণদানকালে মিশেল ব্যাচেলে বলেছিলেন, গাজায় যে প্রাণঘাতি বোমা হামলা ইসরাইল চালিয়েছে তাতে ১৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তা যুদ্ধাপরাধ গঠন হতে পারে যদি, তা অনুপাতহীন হয়।

ইসরাইলের দাবি, তাদের হামলায় ধ্বংস হওয়া বেশির ভাগ ভবনেই সশস্ত্র ফিলিস্তিনি দল আশ্রয় নিয়ে ছিল এবং সামরিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিল, কিন্তু এর কোনো প্রমাণ আমাদের চোখে পড়েনি।

এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও ফিলিস্তিনের হামাসের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ইসরাইলকে দ্রুত শাস্তিরও দাবি জানিয়েছে হামাস।❐

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *