ফাহিম সালেহ হত্যা: সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী গ্রেফতার

নিউ ইয়র্ক প্রবাস বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ হত্যার ঘটনায় তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টাইরিস ডেভেন হাসপিলকে (২১) গ্রেফতার করেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। অর্থ-আত্মসাতের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারণা করছে পুলিশের তদন্তকারী দল। খবর নিউইয়র্ক টাইমস।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২১ বছর বয়েসি টাইরিস ডেভেন হাসপিল তরুণ উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহর ব্যক্তিগত সহকারী থাকাকালীন কয়েক লাখ ডলার আত্মসাৎ করেন। ফাহিম সালেহ বিষয়টি জানার পরেও টাইরিসের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ না করে কিস্তিতে টাকা পরিশোধের এক সমঝোতা করেন। পুলিশ ধারণা করছে আত্মসাৎ করা টাকা ফিরিয়ে না দিতেই হত্যা করা হয়েছে ফাহিম সালেহকে।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে জন্ম নেওয়ার পর নিউইয়র্কে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ মিলিয়নার ফাহিম সালেহ গত বছর থেকে ম্যানহাটনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস শুরু করেন। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়। রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

বুধবার (১৫ জুলাই) ম্যানহাটনে নিজ অ্যাপার্টমেন্টে ৩৩ বছর বয়েসি ফাহিম সালেহের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের ধারণা, এর একদিন আগেই তাকে খুন করে তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী। তদন্তকারী পুলিশের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মূলত একদিন আগেই ফাহিম সালেহর নিজ অ্যাপার্টমেন্টে তাকে খুন করে হাসপিল।

তবে পরদিন হত্যাকাণ্ডের কোনও চিহ্ন না রাখতে ফাহিম সালেহর মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা ছিলো ঘাতকের। কিন্তু মরদেহ কাটার সময় ফাহিম সালেহর বোন অ্যাপার্টমেন্টে চলে আসায় পালিয়ে যায় হত্যাকারী।

এর আগে নিউ ইয়র্ক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, হত্যাকারী ফাহিমের মরদেহ টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভর্তি করে। এক ফাঁকে ধুয়ে মুছে রক্ত পরিষ্কার করে। ঘটনাস্থলে তেমন রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায় নি।

কেউ আসছে বা দরজায় বেল দিচ্ছে, এমন ঘটনার পর খুনি সাততলা অ্যাপার্টমেন্টের পেছনের সিঁড়ি দিয়ে নেমে যায়। এ জন্য তাকে স্পেয়ার চাবি ব্যবহার করতে হয়েছে। ফলে এ ধরনের ‘এক্সিট পরিকল্পনা’ আগে থেকেই নেওয়া ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

অ্যাপার্টমেন্টের আশেপাশের সিসি ক্যামেরা দেখে ফাহিম সালেহর হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ফাহিম সালেহকে অনুসরণ করে লিফটে উঠে ঘাতক। সে সময় তার পরনে ছিলো কালো স্যুট, কালো শার্ট ও কালো টাই ও কালো মুখোশ। হাতে ছিলো একটি ব্যাগ। ❑

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *