আওয়ামী লীগ সাধারণ সস্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঠিক করতে রোববার প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে।
তিনিই উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করবেন। তবে, জুনের শেষ সপ্তাহে হতে পারে উদ্বোধন। শনিবার শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।
অপেক্ষার পালা শেষ। জুনের শেষ সপ্তাহেই উদ্বোধন হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এমন কথা অনেক আগ থেকেই বলে আসছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সবশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকেও এমন কথাই জানানো হয়। আর শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় ড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সেই কথাই নিশ্চিত করলেন।
আগামী জুন মাসেই পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রোববার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হবে।
কাদের আরো বলেন, দিনক্ষণ প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত করবেন। তিনি যেদিন সময় দেবেন, সেই সময়ে আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবো।
নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জুনেই চন্দ্রালোকিত পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু থেকে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পারবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাংক তাদের সহযোগিতার হাত ফিরিয়ে নিয়েছিলো। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বজ্রকণ্ঠে বলেন, বিশ্ব ব্যাংক চলে গেলেও আমরা আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। বঙ্গবন্ধু কন্যার সে স্বপ্ন আজ সত্যে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভালো থাকলে বিএনপির মন খারাপ করে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, তরুণ প্রজন্মের মেট্রোরেল তো হয়েই গেলো। ফখরুল সাহেব এবার কী বলবেন? তিনি নিশ্চয় বলবেন, শেখ হাসিনা সব করেই ফেললেন, আমরা কিছু পারলাম না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন আসছে কী দেখাবেন? জনগণকে কী দেখিয়ে ভোট চাইবেন? আপনাদের নেতা তো পলাতক দণ্ডিত তারেক রহমান। তাহলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বেগম খালেদা জিয়া?’
তিনি আরও বলেন, ১৩ বছর আন্দোলন করলেন। প্রতি বছর বলেন, ঈদের পর আন্দোলন। ১৩ বছরে কত ঈদ এলো, আর কত ঈদ যে গেলো। আন্দোলন আর হলো না। আন্দোলনেও বিএনপি ফেল মেরেছে, নির্বাচনেও ফেল করেছে।
১৩ বছর আগের এবং বর্তমান সময়ের বাংলাদেশের তুলনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই দেশের চেহারা পাল্টে গেছে, শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রী।
শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু জাতিকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছেন আর শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন। আমাদের আজকের মুক্তি সংগ্রামের কাণ্ডারি শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, নিজেদের ব্যর্থতার কারণে বিএনপিই বঙ্গোপসাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। কাজেই আওয়ামী লীগকে বঙ্গোপসাগরের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে টিএসসিতে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তরা বলেন, নিজ গুণে বিশ্বময় আলো ছড়িয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশকেও নিয়ে গেছেন মর্যাদার আসনে।