নির্বাচনের ফল উলটে দিতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্র

ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করে বিচার বিভাগের মাধ্যমে জর্জিয়ার নির্বাচনের ফল উল্টে দিতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জন্য বিচার বিভাগের আইন কর্মকর্তা জেফেরি ক্লার্কের সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন তিনি। ক্লার্ক হচ্ছেন বিচার বিভাগের সিভিলিয়ান পরিচালক।

এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিতে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ওপর চাপ দিয়েছেন ট্রাম্প।

৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হামলায় অংশ নেওয়া এক ট্রাম্প-সমর্থকের বিরুদ্ধে একজন আইনপ্রণেতা ও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।

ক্লার্ক অবশ্য বলছেন, হোয়াইট হাউজের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল দায়িত্বের অংশ। এতে অনিয়ম বা অন্য কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। যে কোনও মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র করেছিলেন ট্রাম্প। সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগানো থেকে বিচার বিভাগকে ব্যবহার। কিন্তু তার ষড়যন্ত্রগুলো কাজ করে নি।

সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার ভ্যানেটি ফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গত নভেম্বর মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনি তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

পেন্টাগন ও বিচার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কোনো সামরিক অভ্যুত্থান নয়। কোনও যুদ্ধে যাওয়া যাবে না এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথে কোনও সেনাবাহিনী থাকবে না।

৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের উসকানিতে ক্যাপিটল হিলে হামলার পর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হয়। ট্রাম্পের ষড়যন্ত্র ও সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ডগুলো চরমভাবে ব্যর্থতার মুখে পড়ে।

এ ঘটনার পর কংগ্রেস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা অভিশংসন প্রস্তাব আনে। অভিশংসন বিচার মার্কিন সিনেটে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে। বিষয়টি নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। অভিশংসন বিচারে শাস্তি হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

এদিকে মার্কিন আইনপ্রণেতা ডেমোক্রেটিক নেতা আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ ও ক্যাপিটল হিলের এক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক গ্যারেট মিলার। তিনি ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডব চালানো হাজারও ট্রাম্প-সমর্থকদের সঙ্গেও অংশ নিয়েছিলেন। টুইটারে তিনি ওই হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, হত্যার হুমকি দেওয়া মিলার ওই ব্যক্তি টেক্সাসের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ, হত্যার হুমকিসহ মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

গ্যারেট টুইটারে লিখেছিলেন, এওসিকে হত্যা কর (আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ)। ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডব চালানোর অপরাধে অভিযুক্ত ট্রাম্প-সমর্থকের ওপর গুলি চালানো এক পুলিশ কর্মকর্তাকেও মেরে ফেলতে হবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।❐

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *