কৃষকদের দমনে সতর্ক অবস্থানে ভারত সরকার, প্রাণ দিতে প্রস্তুত কৃষকরা

ভারত

শুক্রবারের সংঘর্ষের পর ভারতে আন্দোলনরত কৃষকদের দমনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে সরকার। পুলিশের সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের পর ইন্টারনেট বন্ধ রেখেও তাদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। কৃষকদের রাজপথ ছাড়তে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকেও অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অটল থাকার কথা বলছেন কৃষকনেতারা।

দাবি আদায়ে কৃষকরা পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিতেও প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকনেতা রাকেশ টিকাইত। স্থানীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী আচরণ করারও অভিযোগ তুলছেন কৃষকরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এসব খবর জানায়।

এদিকে ভারতে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের নিয়ন্ত্রণে দিল্লির সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে দুই দিনের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। সিংঘু, গাজীপুর ও তিকরি এলাকায় আজ সন্ধ্যার পর থেকে আগামীকাল সারা দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে।

শনিবার বিকেলে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার কৃষকদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের পর থেকেই আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর আগে হরিয়ানার ১৭টি জেলাকে শুক্রাবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন রাখা হয়।

এছাড়া উত্তর প্রদেশ থেকে কয়েক দফা বিবৃতি দিয়ে কৃষকদের রাজপথ ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে সরকারের অবস্থানের প্রতিবাদ জানিয়ে কৃষি আইন বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কৃষকরা।

গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতের বিজেপি সরকার চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আগের কৃষি আইন সংস্কার করে নতুন নীতিমালা নির্ধারণ করেন। তবে প্রস্তাবিত কৃষি আইনে কৃষকরা স্বাধীনভাবে চাষাবাদ করতে পারবে না, এমন আশঙ্কা থেকেই ডাকা হয় ‘ভারত বনধ।’ আইন বাতিলের দাবি নিয়ে কয়েক মাস ধরেই দিল্লি অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন এই কৃষকরা।

নতুন আইনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পরও, আইন বাতিল না করা পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। কয়েক মাস ধরে চলমান এই আন্দোলন ১৯ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে আরও জোরদার হয়।❐

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *