সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে গত সোমবার। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে খুন হয়েছিলেন তিনি। সৌদি অধিকারকর্মীরা এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজও লড়াই করে যাচ্ছেন। তারা মনে করেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিময়ে বিভিন্ন দেশের আরেকটু রক্ষণশীল হওয়া উচিত। খবর ডয়েচে ভেলের।
সৌদি রাজতন্ত্রের কঠোর সমালোচক ছিলেন খাসোগি। তাঁর হত্যাকাণ্ডে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফ্রিডম ইনিশিয়েটিভের সৌদি পরিচালক আবদুল্লাহ আলাউধ বলেন, বাস্তবতা হলো, বিশ্বের বিভিন্ন সরকারকে সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা করতে হয়। এ জন্য মানবাধিকার বা মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জলাঞ্জলি দিয়ে হলেও একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে তারা কাজ করে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন আলকিস্ট ফর হিউম্যান রাইটসের লিনা আল-হাতলুল বলেন, সৌদির তেল কিনলেই দেশটির মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা করা যাবে না– এমন নয়। দেশগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা অন্তত করতে পারে। আল-হাতলুল সৌদি নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বর্তমানে সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গেও সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাচ্ছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-গ্রিসসহ নানা দেশের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক এখন ভালো। অথচ খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এসব দেশ সৌদির সমালোচনায় মুখর ছিল। এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।