সে যে দলেরই হোক, কেউ অপরাধ করলে বা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে তাকে কোনো প্রকার রেহাই দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে তিনি জিরো টলারেন্সের কথা জোর দিয়ে বলেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন দৃঢ় ঘোষণাকে দেশবাসী সাধুবাদ জানাচ্ছে। খুশি হচ্ছে চিন্তাশীল মানুষ। ধন্যবাদ দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সবিনয়ে বলতে চাই, আপনার দৃঢ় পদক্ষেপ দুর্নীতি দমনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দেশের মানুষের কাছে আপনার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। কথায় আছে, দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ-মাদক ব্যবসায়ী ও দুষ্কৃতকারী যে দলেরই হোক না কেন, তার কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না। শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকলে তা হবে প্রশংসনীয়।
প্রধানমন্ত্রীর এ সাহসী ভূমিকায় মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নসহ জনগণ একটি স্বচ্ছ সমাজে বাস করবে বলেই তারা বিশ্বাস করতে চায়। এ অভিযান থেকে পিছপা হলে দুষ্কৃতকারীদের দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে যেতে পারে বলে মানুষের ভয়। অতীতে সরকারি দলের অপকর্ম ও ধ্বংসলীলার কথা মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। বিএনপি-জামায়াত সরকারের দুঃশাসন ও অপকর্মের চিত্র এখনও মানুষের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। বর্তমান সরকার দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে কঠোর হাতে দমন করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা অবিস্মরণীয়। প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, সততা এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব জাতিকে এক উচ্চ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলুন, দেশবাসী আপনার সঙ্গে আছে।
জাহাঙ্গীর কবির : কবি ও প্রাবন্ধিক