মানবেতিহাসে প্রথমবার চাঁদে পা রাখা দলের সদস্য মাইকেল কলিন্স মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছিলেন। বুধবার পরিবারেরর সদস্যদের সান্নিধ্যে তার মৃত্যু হয়। খবর বিবিসি।
কলিন্সের পরিবার সূত্র টুইটারে জানায়, তার শঅন্তিপূর্ণ মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তার পাশে ছিলেন। তিনি জীবনের সব প্রতিকূলতা একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন, শেষ সময়েও তা অটুট ছিল।
নাসার প্রশাসক স্টিভ জুরিক এক বিবৃতিতে বলেন, নাসা গভীর শোকের সঙ্গে একজন মহান পাইলট ও নভোচারীর বিদায়ে শোক প্রকাশ করছে। তিনি এমন এক বন্ধু ছিলেন যিনি সবসময় মানুষের অগ্রযাত্রায় উৎসাহ দিতেন।
১৯৬৯ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পা রেখেছিল নাসার অ্যাপোলো ১১। এর আগ পর্যন্ত চাঁদ ছিল মানুষের কাছে শুধু কল্পনার জগত।
প্রায় চার লাখ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের অক্লান্ত পরিশ্রমে কল্পনার চাঁদ বাস্তব হয়ে ধরা দিল মানবসভ্যতার কাছে।
মাইকেল কলিন্স ছিলেন সেই চন্দ্রাভিযানের কমান্ড মডিউল পাইলট। অভিযানে নিল আর্মস্ট্রং এবং এডউইন অলড্রিনের চাঁদের বুকে পা রাখেন। তবে কলিন্স চাঁদে নামেন নি। এ কারণে তাকে ‘বিস্মৃত নভোচারী’ বলা হয়।
অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ঘটেছিল দুটি যান্ত্রিক গোলযোগ। একটি ছিল বেতার তরঙ্গে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিলেন নিল আর এডুইন। দ্বীতিয়টি ছিল জ্বালানি কমে এসেছিল। যদিও এ দুই প্রতিকূলতা কাটিয়ে ২০ জুলাই সফলভাবেই দুই নভোচারী পা রাখেন চাঁদে। এরপর ২৫ জুলাই তারা পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
মাইকেল কলিন্স ১৯৩০ সালে ইতালিতে জন্ম নেন। তার বাবা যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল ছিলেন। কলিন্স যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট করেন। এরপর বিমানবাহিনীতে যোগ দেন।
১৯৬৩ সালে নাসা তাকে পাইলট হিসেবে নিয়োগ দেয়। ১৯৬৩ সালে মহাকাশ অভিযানে যান।
তবে কলিন্স বলেছিলেন, নাসা মশকরা করেছে আমাকে চাঁদে পাঠিয়ে। কারণ, আমি মনে করি মঙ্গল আরো চমকপ্রদ জায়গা। মঙ্গল বিষয়ে আমি ছোটবেলায় অনেক কিছু পড়েছিলাম।❐