সুতরাং নাগরিকপঞ্জির নামে এমন একটি ডাইভার্শন সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে। যার ফলে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতেই অস্থির মানুষ। আর অন্য রাজনৈতিক দল যারা আছেন, তাদের বাধ্য হয়ে মানুষের আকুলতায় সাড়া দিতে হচ্ছে। তাদের বাধ্য হয়েই অর্থনীতি, বেকারত্ব এসব চিন্তা বাদ দিয়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে এনআরসি ইস্যুতে।
ভারতের শাসকগোষ্ঠীর বর্তমানের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো নিজেদের ক্ষমতা নির্বিঘ্ন রাখতে ‘এনআরসি’ কৌশলের প্রয়োগ। তাদের সকল ব্যর্থতা ঢাকা পড়ে গেছে এক ইস্যুতেই। সবাই দৌড়াচ্ছে ‘নাগরিকপঞ্জি’ নিয়ে। একটি ব্যর্থ সরকার দেশে দেশে এমন কৌশলেরই আশ্রয় নেয়।
কেউ নেয় ধর্মের দোহাই দিয়ে, কেউ বা গোষ্ঠী, বর্ণ, সম্প্রদায় ইত্যাদি’র নামে। এসবই হচ্ছে মানুষের পরিচিতি। আমি কোন দেশের নাগরিক, আমি কোন ধর্মের অনুসারী, আমার সম্প্রদায় কী, আমি কোন গোষ্ঠীর, আমার বর্ণ কী- মানুষকে চিহ্নিত করার সহজ প্রক্রিয়াই হলো এসব।
যার সম্পর্ক হলো মানুষের আবেগের সঙ্গে। আবেগের এ জায়গাগুলো যখন আক্রান্ত হয় মানুষের বিবেকের কাজ সে সময়টায় ভোতা হয়ে যায়। তখন পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে চলতে থাকে আবেগিক সংঘাত, যা কোনো যুক্তি-তর্কের ধার ধারে না। আর ব্যর্থ শাসকেরা মানুষের এই আবেগিক অবস্থার সুযোগ নেয়। ‘এনআরসি’ তারই উৎসজাত।