অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাজারে ৫, ১০ ও ২০ টাকার কাগুজে নোটের অবস্থা খুব নাজুক। এটা দ্রুত পরিবর্তনের ব্যবস্থা করা হবে। সোমবার সকালে সচিবালয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ছেঁড়া এবং জরাজীর্ণ মুদ্রা এবং ব্যাংক নোট বিষয়ে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এতে নানা সমস্যা হচ্ছে।
দেশের টাকার নোট যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয় না। সে জন্য একসময় ৫, ১০ ও ২০ টাকার ধাতব মুদ্রা ব্যবহারের চিন্তা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব ছিল না। এখন নতুন টাকা ছাড়তে গেলে পুরোনো টাকা বাজার থেকে তুলে নিতে হবে। যেসব নোটের অবস্থা বেশি খারাপ, সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়। সেই টাকা গণনা করাও খুব কঠিন কাজ, যদিও আপাতদৃষ্টে মনে হয়, বিষয়টি খুব সহজ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবো, তবে নতুন নোটগুলো না থাকলে, এখনই পুরোনো মুদ্রা এবং ব্যাংক নোটগুলো প্রতিস্থাপন করা যাবে না। দেশের মানুষকে মুদ্রা যত্নে রেখে ব্যবহার করতে হবে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের শেষ সময়ে রপ্তানির তথ্যে গরমিল ছিল।
ওই সময় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রপ্তানি তথ্যে অমিল ছিল। ওই তথ্য শিগগিরই সমন্বয় করা হবে। তিনি বলেন, রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণের একটি প্রজেকশন তৈরি করতেও ইপিবিকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, রপ্তানি তথ্যসহ বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আগে রপ্তানির তথ্য কিছু অমিল ছিল। তাদের (ইপিবি) শেষ পর্যন্ত রপ্তানির তথ্য সমন্বয় করতে বলেছি। যত দ্রুত সম্ভব তা করা হবে। একটি প্রজেকশনও তৈরি করতে বলেছি, আমাদের রপ্তানি সামনে কত হবে। শেষ অর্থবছরে ইপিবি তাদের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেনি, সেটি কবে করা হবে এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শিগগিরই ইপিবির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সব বিষয় চূড়ান্ত করা হবে। ইপিবি কর্মকর্তারা রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্তকরণ এবং তথ্য সমন্বয় কাজ করছেন এবং বোর্ড সভায় সব বিষয় অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জিডিপির তথ্যেও কোনো পরিবর্তন আসতে পারে কিনা এমন বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ওটা দেখছি। এটা আমাদের উৎপাদনকে কেন্দ্র করে করা হয়, অনেক খাত জড়িত। প্রায় ১৯টি খাত। এটা আপনারা জানতে পারবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদ কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিল করায় বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করছে।
বাজেট ও এডিপি সংশোধনের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা এডিপি সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ করবেন। প্রয়োজনে জাতীয় বাজেট সংশোধন করা হবে। আমরা অহেতুক সব খরচ বন্ধ করে যুক্তিসঙ্গত করব।
বৈঠকে বাণিজ্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।