ফেডারেল জজ হলেন নুসরাত চৌধুরী

নিউ ইয়র্ক যুক্তরাষ্ট্র

নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের বিচারক হিসেবে শপথ নিলেন নুসরাত চৌধুরী। তিনি প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান এবং প্রথম মুসলিম আমেরিকান নারী হিসেবে ইতিহাস তৈরি করলেন। ১০ মে সিনেটর চাক শ্যুমারের সহায়তায় নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের বিচারক হিসেবে এক অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে তিনি শপথ গ্রহণ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে তাকে বিচারক পদে মনোনয়ন ও নিয়োগের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা হলো।

গত ৯ মে বিচারক নুসরাত চৌধুরীর শপথ গ্রহণের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে সিনেটর চাক শ্যুমার তার নিয়োগ নিশ্চিত করে বলেন, একজন নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টেক ফেডারেল বিচারক হিসেবে নুসরাত চৌধুরীকে শপথ নিতে সাহায্য করতে পেরে আমি খুবই সম্মানিত। তিনি একজন ইলিনয়ের আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের আইনি পরিচালক ছিলেন।

সিনেটর শ্যুমার আরও বলেন, নুসরাত চৌধুরী একজন প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান এবং প্রথম মুসলিম আমেরিকান নারী, যিনি ফেডারেল বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমি তাকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে সুপারিশ করতে এবং তাকে ফেডারেল বিচারক হিসেবে নিশ্চিত করতে পেরে গর্ববোধ করছি।

নুসরাত চৌধুরী ১৯৭৬ সালে ইলিনয়ে জন্মলাভ করেন। তার বাবার বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার ৬ নং দাগনভূঁইয়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীপুরে।

নিউইয়র্কের পূর্বাঞ্চলের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে নুসরাত জাহান চৌধুরী ইলিনয়ের আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের (এসিএলইউ) আইনি পরিচালক হিসেবে ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। শতবর্ষের পুরোনো আইনি প্রতিষ্ঠান এসিএলইউ সাধারণ মানুষের অধিকারের পক্ষে কাজ করে থাকে।

২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নিউইয়র্কে আমেরিকান সিভিল রাইটস ও ইউনিয়নের বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রেসিয়াল জাস্টিস প্রোগ্রামের ডেপুটি ডাইরেক্টর ছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রেসিয়াল জাস্টিস প্রোগ্রামের সিনিয়র স্টাফ অ্যাটর্নি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

নুসরাত চৌধুরী কলাম্বিয়া ভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েট, প্রিন্সটন এবং ইয়েল ল’ স্কুল, ফেডারেল কেস, ক্লাস অ্যাকশন, লিড কাউন্সেল হিসেবে কাজ করা এবং ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে ও আপিলে মামলা করার বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *