পরিবর্তন হচ্ছে মহাসাগর ও জলবায়ুর রং

আন্তর্জাতিক নিসর্গ

একটি নতুন গবেষণা অনুসারে, গত ২০ বছরে সমুদ্রের রং ও জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফি সেন্টার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির বিজ্ঞানীদের একটি দল বলেছেন, বিশ্বের ৫৬ শতাংশেরও বেশি মহাসাগরের রঙ এমন পরিমাণে পরিবর্তিত হয়েছে যা প্রাকৃতিক পরিবর্তনশীলতার দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। ২০০২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে স্যাটেলাইটের সাহায্যে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে এমনটাই দাবি করেছেন।

সম্প্রতি একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এ প্রতিবেদন। সেখানে বলা হয়েছে, নীল থেকে সবুজ হয়ে যাচ্ছে সমুদ্রের রং। যদিও খালি চোখে এ পরিবর্তন দেখা সহজ নয় বলেও দাবি বিজ্ঞানীদের।

জানা গেছে, দিন দিন বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে চলতি গ্রীষ্মে স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে বিশ্ববাসী। শুধু তাই নয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে দাবানল, খরা, বন্যার মতো দুর্যোগও বেড়েছে আগের চেয়ে কয়েক গুণ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই জলবায়ু নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা।

ভৌগলিকভাবে পৃথিবীর তিন ভাগ পানি এবং একভাগ স্থল। প্রকাশিত প্রতিবেদনে গবেষকরা জানিয়েছেন, মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের এলাকাগুলোতে সমুদ্রের রং পরিবর্তনের হার অপেক্ষাকৃত বেশি এবং গত ২০ বছরে সমুদ্রের যে পরিমাণ এলাকার রং পরিবর্তন হয়েছে, আয়তনে তা পৃথিবীর স্থলভাগের চেয়ে অনেক বেশি।

বিজ্ঞানীদের মতে, সমুদ্রের রং পরিবর্তনের অর্থ হলো সেখানকার জীবনচক্র বা বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন ঘটছে। সামুদ্রিক প্রাণীদের খাদ্যচক্রের সর্বনিম্নে অবস্থান করে প্ল্যাঙ্কটন। যদি প্ল্যাঙ্কটন বাড়ার কারণে পানির রং পরিবর্তন ঘটে তাহলে তার কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে।

যদিও এ নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই বলেও সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। কেননা, সমুদ্রে স্পর্শকাতর অনেক প্রাণী রয়েছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়লে এগুলো চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *