সবচেয়ে খারাপ খবর তৈরি পোশাক খাতের। এর সঙ্গে বস্ত্র খাতের। খবরের কাগজের একটি রিপোর্টে দেখলাম ২০১৯ সালের এ পর্যন্ত সময়ে দেশে ২০৯টি ম্যানুফ্যাকচারিং অথবা অন্য কারখানা বন্ধ হয়েছে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানাই বেশি।
বলা হয়েছে সর্বমোট ১৯ হাজার শ্রমিকের চাকরি গেছে। কী কারণে এসব বন্ধ হয়েছে? ত্রুটি সংশোধনে ব্যর্থতা, অর্ডারের অভাব, কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়া, ব্যয় সংকোচন, কারখানার আকার ছোটকরণ ইত্যাদি। বলা হচ্ছে, বিদেশি ক্রেতারা যা চায় তা আমরা পারি না। এসব কারণে তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হচ্ছে। আবার এ-ও সত্যি যে, প্রতিযোগিতার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মালিকরা কারখানাগুলোতে ‘রোবট’ বসাচ্ছে।
রোবটে দুই সমস্যার সমাধান হয়। শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কা দূরীভূত হয়। ১০০ জনের কাজ এক মেশিন করতে পারে। এতে খরচ কম পড়ে। সে কারণে মালিকরা ‘রোবটের’ দিকে ঝুঁকছে, যা জাপান, ইউরোপীয় দেশগুলো করে। যদিও তাদের লোকের অভাব, আর আমাদের লোক অফুরন্ত। কিন্তু প্রতিযোগিতা, দক্ষতা, কম দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বড় বেশি কার্যকর। সেখানে ‘খাতির’ নেই, আদর্শেরও কোনো বালাই নেই।