সাম্প্রতিক সময়ের সবথেকে ভয়াবহ খরায় পড়েছে ইউরোপ। এতে গত এক শতাব্দীর মধ্যে সবথেকে নিচে নেমে এসেছে দানিউবের পানির স্তর। পানির স্তর নিচে নামার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠতে শুরু করেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দানিউবে ডুবে যাওয়া জার্মান যুদ্ধ জাহাজগুলো। মহা শক্তিধর সোভিয়েত বাহিনীর আক্রমণে জার্মান বাহিনী যখন পালিয়ে যাচ্ছিল, তখন এগুলোকে ডুবিয়ে দেয়া হয়।
সিএনএন জানিয়েছে, সার্বিয়ার নদী বন্দর প্রাহোভোর কাছাকাছি ওই নাৎসি জাহাজগুলোর বেশিরভাগ ভেসে উঠেছে। নাৎসি জার্মানির ‘ব্ল্যাক সি ফ্লিট’-এর অংশ ছিল এই যুদ্ধজাহাজগুলো। ইউরোপ দখলের পর জার্মানি সোভিয়েত ইউনিয়ন দখলে অভিযান পরিচালনা করেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। তবে সোভিয়েত বাহিনীর প্রতিরোধের কাছে হার মেনে অবশেষে পালায় নাৎসিরা। সেসময় নাৎসিরা অনেকগুলো যুদ্ধজাহাজ হারায়। তারই অন্তত ২০টি যুদ্ধজাহাজ এ বছর ভেসে উঠেছে। এখনও তাতে শত শত টন গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক।
এতে করে ওই বন্দরটিতে বানিজ্যিক জাহাজগুলো হুমকিতে পড়েছে। এছাড়া স্থানীয় জেলেরাও বিপদে রয়েছে। ওই নদীর ওপারেই রোমানিয়া। তারাও আতঙ্কে রয়েছে।
ইউরোপে এ বছর ভয়াবহ খড়া দেখা গেছে। মাসের পর মাস ধরে বৃষ্টিহীন অবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চ তাপমাত্রা। এতে শুকিয়ে যাচ্ছে নদীগুলো। অনেক নদীতেই পানি প্রবাহ টিকিয়ে রাখতে খনন শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। সার্বিয়া জানিয়েছে, এমনিতেই দানিউবের পানি কমায় জাহাজ চলাচল কঠিন হয়ে গেছে। এরমধ্যে জার্মান যুদ্ধজাহাজগুলো আরও সংকুচিত করে ফেলেছে যাত্রাপথ। তাই এরইমধ্যে দেশটির সরকার যুদ্ধজাহাজগুলো থেকে বিস্ফোরক ও বারুদ সরাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এতে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।