ট্রাম্প বনাম কমলা: হোয়াইট হাউস কার, কী বলছে পোল ট্র্যাকার

প্রধান সংবাদ যুক্তরাষ্ট্র রাজনীতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। এরই মধ্যে, দেশটির ৭ কোটি ৮০ লাখের বেশি ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন। ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে একটি বুথ ফেরত জরিপ পরিচালনা করেছে পোলস্টার। জরিপে দেখা গেছে, ইলেকটোরাল কলেজে দুই প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই অনুষ্ঠিত হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জিতবেন তা নির্ধারণ করে দেবে কয়েকটি ‘সুইং স্টেট’ বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য। এসব অঙ্গরাজ্যে যিনি সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকবেন আগামীকাল বিজয়ের মালা পড়বে তাঁর গলায়।

পোলস্টার পরিচালিত এই জরিপ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ও অঙ্গরাজ্য স্তরে সর্বশেষ জরিপের ভিত্তিতে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের সম্ভাব্য ফলাফলের পরিসর নির্ধারণ করেছে। জরিপ অনুসারে, ভোটারদের প্রবণতা ইঙ্গিত করে যে, ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের ১৯১টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট প্রাপ্তি অনেকটাই নিশ্চিত। ডেমোক্রেটিক পার্টি ঘেঁষা ইলেকটোরাল কলেজ ভোট আছে আরও ৩৫ টি। সব মিলিয়ে, এখন পর্যন্ত কমলার পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ২২৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের।

রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এই জরিপ ইঙ্গিত করে যে, তিনি ১২৫টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ট্রাম্পের পক্ষে যাবে—যা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে আরও ৯৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ট্রাম্প ঘেঁষা। অর্থাৎ, ২১৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ট্রাম্পের পক্ষে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকে সব মিলিয়ে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে। পোলস্টার-ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের জরিপ যদি আমলে নেওয়া হয়, এ ক্ষেত্রে অগ্রিম ভোটের প্রবণতা দেখাচ্ছে যে, কমলা হ্যারিস সামান্য ব্যবধানে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন। অর্থাৎ, আগামীকাল এই দুই প্রার্থীর মধ্যে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের অনুমান বলছে, ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটসগুলোর মধ্যে নেভাদায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস উভয়ই সমান সমান ভোট পাবেন। উইসকনসিনে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা হ্যারিস দশমিক ৪ শতাংশ এগিয়ে থাকবেন। পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প কমলার চেয়ে দশমিক ৪ শতাংশ এগিয়ে থাকবেন। মিশিগানে হ্যারিস ১ দশমিক ২ শতাংশ এগিয়ে থাকবেন।

এ ছাড়া, নর্থ ক্যারোলাইনাতে ট্রাম্প এগিয়ে থাকবেন ১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটে। জর্জিয়াতে ট্রাম্প কমলার চেয়ে ১ দশমিক ৮ শতাংশ এগিয়ে থাকবেন। অ্যারিজোনায় এগিয়ে থাকবেন ট্রাম্প, কমলার চেয়ে তিনি ২ দশমিক ২ শতাংশ ভোট বেশি পাবেন এই অঙ্গরাজ্যে।

সুইং স্টেটসগুলোর মধ্যে নেভাদার ইলেকটোরাল কলেজ সংখ্যা ৬টি, যেখানে কমলা ও ট্রাম্প সমান সমান। এর বাইরে, কমলা আর যে দুটি স্টেটে এগিয়ে থাকবেন—উইসকনসিন ও মিশিগান—সেখানে ইলেকটোরাল কলেজ সংখ্যা যথাক্রমে ১০ ও ১৫টি করে। এর বাইরে, ট্রাম্প যেসব অঙ্গরাজ্যে এগিয়ে থাকবেন—পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া ও অ্যারিজোনা—সেখানে ইলেকটোরাল কলেজ সংখ্যা যথাক্রমে ১৯, ১৬, ১৬ ও ১১টি করে।

এদিকে, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস স্থানীয় সময় আজ সোমবার পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে যে জরিপ পরিচালনা করেছে সেখানে ‘পপুলার ভোট’ তথা জনগণের সরাসরি ভোটে এগিয়ে কমলা হ্যারিস। জরিপ বলছে, কমলা হ্যারিস ভোট পাবেন ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প পাবেন ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *