গাজায় যুদ্ধের অবসানকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। সোমবার জেনেভায় সংস্থাটির মানবাধিকার কাউন্সিলের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি গাজায় বছরব্যাপী যে যুদ্ধ চলছে তা শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতি তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে- গাজায় ৪১ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে ইসরাইল। ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
ইসরাইলের দাবি, হামাসের হামলায় ১২০০ ইসরাইলি নাগরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া হামাস সেসময় ২৫০ জনের বেশি ইসরাইলি নাগরিককে জিম্মি করেছে বলেও দাবি করে আসছে তেল আবিব। হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধের অবসান এবং সেখানে পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক সংঘাত এড়ানো এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয় বলে উল্লেখ করে ভলকার তুর্ক বলেন, কোনো অবস্থাতেই বিশ্বের কোনো দেশ আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করতে পারবে না, সেটা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বেঁধে দেয়া নির্দেশ হোক বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নির্দেশ হোক। তিনি জুলাইয়ে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত থেকে প্রকাশিত মতামতের উদ্ধৃতি দেন- যা ইসরাইলের দখলদারিত্বকে বেআইনি বলে অভিহিত করেছে। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি অবশ্যই ‘বিস্তৃতভাবে মোকাবিলা করা উচিত’।
অবশ্য ইসরাইল ভলকার তুর্কের এই মতামত প্রত্যাখ্যান করেছে এবং একে একতরফা বলে অভিহিত করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান হিসেবে চার বছর মেয়াদের দুই বছর অতিক্রম করেছেন ভলকার তুর্ক। ভাষণে তিনি তার সময়ের মধ্যে বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকট চলছে বলে মন্তব্য করেন। জাতিসংঘের ৫ সপ্তাহের এই অধিবেশনে সুদান, আফগানিস্তান এবং ইউক্রেনে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও বিতর্ক হওয়ার কথা। এর শুরুতে ভলকার তুর্ক বলেন, সারাবিশ্বে প্রতিটি অঞ্চলে আমরা দেখতে পাচ্ছি ক্ষমতাকে গ্রাস করতে বা ক্ষমতাকে ধরে রাখতে ক্ষমতার গভীরে থাকা পক্ষ সার্বজনিন মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।